পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ৬নং ইউনিয়নাধীন ভজনপুর বাজারের উন্নয়নে অস্থায়ী দোকানদার’দের সুবিধার্থে নবনির্মিত দুটি টিনসেট ঘরের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বিকেলে ভজনপুর বাজারে উপস্থিত হয়ে দোকানদারদের সুবিধার্থে ঘর দুটির উদ্বোধন করেন, তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কাজী মাহমুদুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মকসেদ আলী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশিদ লিটন , ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আশুতোষ সরকার, ইউপি সদস্য মোঃ মকবুল হোসেন, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ হামিদুল ইসলাম, মোঃ ইব্রাহিম, মোঃ জাহের আলী প্রমূখ।
কাঁচা শাক সবজি বিক্রেতাদের সুবিধার্থে এবং নির্দিষ্ট একটি স্থানে বেচাকেনার জন্যই নব নির্মিত ঘর দুটি তৈরি করা হয়েছে। অস্থায়ী সবজি দোকানদার এবং স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত শাক সবজি বিক্রির নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় বেচাকেনা করতে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বাজারের যেখানে সেখানে তারা দোকান খুলে বসে। বিশেষ করে হাটের দিনগুলোতে তারা বাজারের মাঝ বরাবর ইউনিয়ন পরিষদ যাওয়ার প্রধান সড়কটির উপর দোকান খুলে বসে। এতে চলাচলের দুর্ভোগে পড়ে পথচারীরা। সাধারণ মানুষ বাজার করতে বিপাকে পড়ে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও দোকানদারা জানান, খোলা আকাশের নিচে রাস্তার উপর বেচাকেনা করতে অনেক অসুবিধা হয়। রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করে ব্যবসা করতে অনেক কষ্ট হয়। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মকসেদ আলীর উদ্যোগে সরকারি ভাবে যে ঘর দুটি তৈরি করা হয়েছে এতে আমরা অনেক উপকৃত হব। পাশাপাশি রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের আর কষ্ট করতে হবে না। এখন থেকে নির্দিষ্ট একটি স্থানে বসে আমরা শান্তিতে বেচাকেনা করতে পারবো। সকলেই বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ বিষয়ে ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মকসেদ আলী বলেন, দোকানদাররা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে অনেক কষ্ট করে ব্যবসা করে। এতে একদিকে তাদের ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়, অপর দিকে রাস্তার উপর দোকান খুলে বসায় সাধারণ মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সব দিক বিবেচনা করে দুটি টিনসেট ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। একটি ঘরে ৮টি করে মোট ১৬ দোকানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশিদ লিটন বলেন, ঘর দুটি নির্মাণের ফলে ব্যবসায়ীরা অনেক উপকৃত হবে। যেখানে ঘর দুটি নির্মাণ করা হয়েছে তার পাশেই আরো অনেক সরকারি জায়গা পড়ে আছে। সেই জায়গা যদি সংস্কারের ব্যবস্থা করে এভাবেই ঘর নির্মাণ করা হয় তবে বাজারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং অন্যান্য অস্থায়ী দোকানদাররা অনেক উপকৃত হবে। ঘর উদ্বোধন শেষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাজার ভালোভাবে পরিদর্শন করে স্থানীয়দের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং শীঘ্রই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।