আসাদুল ইসলাম সবুজঃ উত্তরের জনপদ লালমনিরহাট আজ ৬ই ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয়। এই দিনে হানাদার বাহিনী লালমনিরহাট থেকে পালিয়ে যায়। ১৯৭১ সালের পর থেকে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ও জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে। প্রতিবছরের মতো এবারও দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, জেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। কর্ম সূচির মধ্যে রয়েছে মিলাদ মাহফিল, আলোচনাসভা ও বিজয় র্যালি। তবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও লালমনিরহাট জেলার সব গণকবর চিহ্নিত ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা না নেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার বয়স কম হয়নি। বিগত সরকারগুলো মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারগুলোর কোনও খোঁজ রাখেনি। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ সরকার এখন ক্ষমতায়। আমরা প্রত্যাশা করি এ সরকার এসব গণকবর চিহ্নিত করে, সংরক্ষণের দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।’ লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলায় কতটি গণকবর রয়েছে এবং কতজন শহীদ হয়েছিলেন তার কোনও সঠিক তথ্য নেই। তবে এখন পর্যন্ত বড়খাতায় একটি, বাউরায় একটি, লালমনিরহাটে তিনটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে বড়খাতা এবং লালমনিরহাট রেলওয়ে গণকবর ছাড়া এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও গণকবর চিহ্নিত করা হয়নি। বাউরায় জমগ্রাম জামে মসজিদ সংলগ্ন যে গণকবর চিহ্নিত করা হয়েছে। তাতে একজন বীর প্রতীকও রয়েছেন। তিনি তৎকালীন ইপিআর বাহিনীর সদস্য ছিলেন বলে জানা যায়। দিবস পালনের প্রস্তুতি বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দিবসটিকে ঘিরে সীমিত পরিসরে মিলাদ মাহফিল, শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।’ স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে দিবসটি উপলক্ষে লালমনিরহাটের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তোরণ নির্মাণ করেছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।