বাংলার সংবাদ ডেস্ক ।। হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে পাঁচ মামলায় তিন দিন করে ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১২ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ভার্চুয়াল কোর্টে মামুনুল হককে আদালতে হাজির করে পাঁচটি মামলায় ৩৮ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এর মধ্যে ধর্ষণ মামলায় ১০ দিন, সোনারগাঁয়ে সহিংসতার দুই মামলায় ১৪ দিন ও সিদ্ধিরগঞ্জে সহিংসতার দুই মামলায় ১৪ দিন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেক মামলায় তিন দিন করে ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মনিরুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহিংসতার মামলায় এক আসামি মামুনুল হকের নির্দেশে নাশকতার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাই মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলায় গ্রেপ্তারসহ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। ঈদের ছুটির পর ভার্চ্যুয়াল কোর্টের মাধ্যমে শুনানি হবে।
এর আগে ৩০ এপ্রিল সকালে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন এক নারী। যাকে মামুনুল হক তার ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ দাবি করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ে মামুনুল হকরে অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা মহাসড়কে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগ অফিস, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও সাংবাদিক একটি মামলা দায়ের করেন। তার কিছুদিন পর স্থানীয়রা আরও তিনটি মামলা দায়ের করেন। ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় প্রধান আসামি মামুনুল হক।
এছাড়াও, ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ পাঁচটি ও র্যাব একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পিবিআই ও সিআইডিকে দেওয়া হয়।