লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় হামিদার রহমান নামক এক গ্রাম পুলিশের (চৌকিদার) জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে। কেউ বলছেন জালিয়াতি আবার কেউ বলছেন এটা ভুল হয়েছে। আর এই ভুলে ভরা জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে নিয়মবর্হিভুত ভাবে গ্রাম পুলিশের সরকারি চাকরি ১৬ বছর ধরে করায় অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে হামিদার রহমান। তার মায়ের নাম হাজিরন নেছা। তিনি ২০০৬ সাল থেকে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন গ্রাম পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমান সময়ে একজন মানুষের একটি জাতীয় পরিচয় পত্র (ভোটার আইডি কার্ড) খুবেই গুরুত্বপূর্ণ হলেও হামিদার রহমানের ভোটার আইডি কার্ডটি ভুলে ভরা। সেই ভুলে ভরা জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে নিয়মবর্হিভুত ভাবে গ্রাম পুলিশের সরকারি চাকরি করায় অভিযোগ উঠেছে।
গ্রাম পুলিশ হামিদার রহমান
গ্রাম পুলিশ হামিদার রহমান চাকরি পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রে গড়মিল করেছেন। যার ভোটার আইডি নং- ২৮১৪৫৩১২৬১। তার মায়ের নাম হাজিরন নেছা হলেও উক্ত ভোটার আইডিতে মায়ের নামের স্থানে স্ত্রী রাহেলা নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
জম্ম নিবন্ধন অনুয়ায়ী হামিদার রহমানের জম্ম ১৯৭০ সালের ১০ ডিসেম্বর, অথচ জাতীয় পরিচয় পত্রে ১৯৭৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী জম্ম তারিখ করা হয়েছে। একজন গ্রাম পুলিশের ভোটার কার্ডে মায়ের নামের বদলে স্ত্রী নাম ও ভুল জম্ম তারিখ দিয়ে চাকরি প্রায় ১৬ বছর পেরিয়ে গেলে কেউ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ হামিদার রহমান বলেন, আমি তেমন একটা লেখাপড়া করি নাই। অভাবের সংসার ছিল বাবার। কোন রকম নিজের নামটা লেখতে পাই। চাকরিটা পেয়েছি আমার শ্বশুরের সুবাদে। তিনি গ্রাম পুলিশ ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর আমি এই চাকরিটা পেয়েছি।
তবে জাতীয় পরিচয় পত্রে মায়ের নামের বদলে স্ত্রী নাম ও ভুল জম্ম তারিখ দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিভাবে ভুল হয়েছে তা আমি জানি না, তবে ভুল সংশোধনের জন্য আমি নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছি।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচন অফিস জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে, এটি ভুল না ভাল।