মোঃ ইউসুফ শেখ, ব্যুরো প্রধান, খুলনা ।। লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করে ঘরমুখী মানুষের তোড়জোড় ছাড়ছেন নগরী। আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিকল্প উপায়ে ফিরতে হচ্ছে তাদের।
গত দিনের মত আজও সকাল থেকে খুলনার বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। বেশিরভাগ যাত্রী প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসে করে ছুটে চলেছেন যে যার গন্তব্যে। ঘরমুখী মানুষ বলছেন পরিবহন স্বল্পতা কারনে তারা বেশিরভাগই যাচ্ছেন ভেঙে ভেঙে। এতে খরচ ও ভোগান্তি দুটোই বাড়ছে। তবে চালক-হেলপারদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখা গেছে।
এছাড়া বেশিরভাগ বাসে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার। দীর্ঘদিন গণপরিবহন বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চলাচল শুরু করেছে গণপরিবহন। সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় গণপরিবহন চালু করে দেওয়ার প্রথম দিন যাত্রী চাপ তেমনটা চোখে পড়েনি। তবে বেশিরাভগ বাস চালক ও হেলপারদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
অপর দিকে সাতক্ষীরায় এমনই ছিলো শুক্রবার (৭ মে) সকালের গণপরিবহন চলাচলের সার্বিক চিত্র। সকাল আটটায় সাতক্ষীরা টারমিনাল এলাকায় যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতে দেখা যায়। এসব বাসে শারীরিক দূরত্ব মেনে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেলেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা এ জাতীয় কোন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।
একই চিত্র দেখা যায় সংগীতা মোড় রোড ও নিউ মার্কেট রোডে চলাচল করা বাসগুলোতেও। গণপরিবহন চালুর ২য় দিনে রাস্তায় গাড়ির চাপ ছিলো চোখে পড়ার মত ।সকাল নয়টায় খুলনা রোড মোড়ে কিছু বাসের চাপ দেখা গেছে। সময় বাড়ার সাথে সাথে এসব বাসে যাত্রী চাপও ছিলো উল্লেখ করার মতো। এসময় হাতে গোনা কয়েকটি বাসে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে দেখা গেলেও বেশির ভাগ বাসেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি ছিল উপেক্ষিত।