পিন্টু কুমার সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রায় ছয় বছর পর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কয়েক দফা সময় পেছানোর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
আজ শনিবার (১১ জুন) সকালে উপজেলার ডি ডব্লিউ সরকারি কলেজ মাঠে আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সাবেক এমপি ও আ.লীগের সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সাবেক এমপি এডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা গিনি।
জেলা আ.লীগের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ শামস উল আলম হিরু সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক।
জানা গেছে, ছয় বছর পর উপজেলা আ.লীগের সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সাজসাজ রব আর নানা ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো উপজেলা। সম্মেলন ঘিরে নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। কে হবেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি/সম্পাদক তা নিয়ে চলছে সর্বত্র আলোচনা। সর্বশেষ ২০১৬ সালে আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন প্রয়াত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ও সাধারণ সম্পাদক হন আরেক প্রয়াত এমপি গোলাম মোস্তফা আহাম্মেদ। এরপর ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর এমপি লিটন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন এবং পরের বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান এমপি গোলাম মোস্তফা আহাম্মেদ। পরপর দুই এমপির মৃত্যুতে অবিভাবকহীন হয়ে পড়ে উপজেলা আ.লীগ। পরে ২০১৮ সালে আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি প্রয়াত মকবুল হোসেন প্রামানিককে আহ্বায়ক করে ৭৯ সদস্যের একটি দীর্ঘ কমিটি ঘোষণা করেন। এতে একজন আহ্বায়ক ও মোট ১২ জনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করে কমিটি করা হয়েছিল। তিন মাসের জন্য আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও প্রায় চার বছর দায়িত্ব পালন করে এ কমিটি।
এদিকে, দীর্ঘদিন পর উপজেলা আ.লীগের সম্মেলনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝে। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের এক মিলন মেলা হতে যাচ্ছে। বিগত দিনে এ উপজেলায় সুসজ্জিতভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করতে না দেখা গেলেও ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে গোটা উপজেলা সেজেছে নববধুর মতো। নেতা কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে কর্মচাঞ্চল্য। গোটা উপজেলা ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারে ছেয়ে গেছে। নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরণের তোরণ।
সম্মেলনে সভাপতি পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছন। তারা হলেন- প্রয়াত সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোন ও উপজেলা আ.লীগের আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) আফরুজা বারী, লিটনের স্ত্রী ও যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি, যুগ্ম-আহ্বায়ক উপাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু, যুগ্ন-আহবায়ক ও দহবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল আলম সরকার রেজা, যুগ্ম-আহ্বায়ক সাজেদুল ইসলাম, আহসান আজিজ সরদার মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু, মেহেদী মোস্তফা মাসুম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সফিউল ইসলাম আলম, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মুরাদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম শোনা যাচ্ছে।