মোঃ রাশেদুল ইসলাম, পঞ্চগড়।। পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট বাজারে সামান্য বৃষ্টিপাতেই রাস্তার বেহাল দশা। এতে চরম দুর্ভোগে পথচারী সহ বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, চারটি ইউনিয়নের মধ্যভাগে বাজারটি হওয়ায় প্রচুর লোকজন এখানে বাজার করতে আসে।কিন্তু রাস্তার পানি অপ্রস্বারনের কোন ব্যাবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতের ফলে রাস্তার উপর কাঁদার সৃষ্টি হয়। পানি জমে থাকে। শুধু পাকা রাস্তার উপর নয় মার্কেটের ভিতরে কাঁদা, পানির জন্য লোকজন ঠিকমত বাজার করতে পারে না। পনি জমে থাকার কারনে এলজিডির পাকা রাস্তার উপর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ।প্রায় সময় ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা । দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ভাবে সংস্কারের অভাবে এই জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
টুনিরহাট বাজারের দোকান ব্যবসায়ীরা জানান, সামান্য বৃষ্টিতে মার্কেটের ভিতরে গলি রাস্তাগুলোতে পানি জমে থাকে। এতে আমাদের বেচাকেনা করতে অনেক অসুবিধা হয় ।বাজার সংশ্লিষ্ট এলজিডির পাকা রাস্তাটিরও বেহাল অবস্থা ।বাজারের পানি অপ্রস্বারনের ব্যবস্থা করা হলে এবং রাস্তা মেরামত করা হলে এই বাজার প্রান ফিরে পাবে।
টুনিরহাট বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মোমিন বলেন, রাস্তার উপর জমে থাকা কাঁদ পানির জন্য এখানে বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষ সহ চলাচলরত পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় ।বাজার সংশ্লিষ্ট এলজিডির পাকা রাস্তার উপর পানি জমে থাকার জন্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ।যার ফলে ছোটখাটো দূর্ঘটনা প্রায় সময় ঘটে।রাস্তাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা না হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙিক্ষত দুর্ঘটনা । বিকল্প আঞ্চলিক মহাসড়ক হিসেবে এই রাস্তা দিয়ে ভারি দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করে ।
এছাড়া চাকলাহাট, হাড়িভাষা, কামাত কাজলদিঘী ও কালিয়াগঞ্জ এই চারটি ইউনিয়নের ঠিক মাঝখানে এই টুনিরহাট বাজারের অবস্থান হওয়ায় চারটি ইউনিয়নে’র মানুষ নিয়মিত এখানে বাজার করতে আসে।এছাড়াও চারটি ইউনিয়ন ছাড়াও হাটের দিন প্রায় ৮/১০ টি ইউনিয়নের মানুষ এই বাজারে তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য ক্রয় বিক্রয় করে। এই বাজারে বিভিন্ন ধরনের সব দোকান মিলে প্রায় ১১০০ দোকানদার আছে।দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যপারিরা নিয়মিত এখানে জিনিস কিনতে আসে।
এতো কিছুর পরেও সংস্কারের অভাবে দোকানদাররা ঠিক মত বেচাকেনা করতে পারছে না ।সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । বাজার সংশ্লিষ্ট এলজিডির পাকা রাস্তাটির সংস্কার ও বাজারের পানি অপ্রস্বারনের জন্য ড্রেন নির্মাণের জোর দাবি স্থানীয় সাধারণ মানুষ, দোকানদার, জনপ্রতিনিধি সহ সকলের ।