লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ ।। হবিগঞ্জের মাধবপুরে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের শ্মশানে ও বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে প্রভাবশালীরা সেই সাথে ওই পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে সংখ্যালঘু পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মনমোহন সুত্রধরের মেয়ে সুশিলা সুত্রধর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ই জুন উপজেলার বহরা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মনমোহন সুত্রধর ও তার স্বজনদের শ্মশানে ও বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে একই গ্রামের রজব আলী ও তার লোকজন। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করলে রজব আলী ও তার লোকজন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দিয়ে বলে তারা বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদেরকে নির্যাতন করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাঠিয়ে দিবে। মনমোহন সুত্রধরের মেয়ে সুশিলা সুত্রধর জানান আমাদের বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে আমরা বলার পর আমাদের মারধর করে আমার বাবা কেও মেরে অসুস্থ করে ঘরে ফেলে রাখছে। জোর করে তারা বেড়া দিয়েছে আমাদের এই দেশে থাকতে দিবে না ইন্ডিয়া পাঠিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।
সতেন্দ্র সুত্রধর জানান, তারা আমাদের হুমকি দিয়ে বলে মেরে আমাদের লাশ গুম করে ফেলবে আমাদের ইন্ডিয়া পাঠিয়ে দিবে। এলাকার সর্দার আব্দুল সালাম সেনু মিয়া জানান তাদের বাড়ির সীম সীমানা ও ম্যাপ আছে। আমরা গ্রামবাসী সীমানা মেপে খুঁিট দিয়ে গেছি। রজব আলী খুঁটি উপড়ে ফেলে দিয়েছে হিন্দু পরিবারকে গালিগালাজ করেছে। ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুল আজিজ জানান, চেয়ারম্যান কে নিয়ে জায়গা মেপে খুঁটি দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছি। তারা খুঁটি উপড়ে ফেলে দিয়েছে। তারা স্থানীয় মুরুব্বী জনপ্রতিনিধি কারোর কথা শুনে না।
বহরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রজব আলী জানান আমি তাদের গালিগালাজ করিনি। এই সব অভিযোগ সত্য না।
বিদায়ী মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।