নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে চলছে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল। মাঝে মধ্যেই নানান কারনে খবরের শিরোনাম হয় হাসপাতালটি।
যেমন, কয়েকদিন আগে মটরসাইকেল চালিয়েই হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ওঠা নামার অভিযোগ উঠে শাহজাহান নামের এক ওয়ার্ড বয়ের বিরুদ্ধে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আলোচনার জন্ম দেয়।
নতুন করে, হাসপাতালের ৪র্থ তলায় অবস্থিত কেবিন ব্লকটিতে করোনা রোগী রাখার খবরে গিয়ে দেখা যায়, পাশাপাশি ওয়ার্ডে থাকছেন করোনা রোগী সহ সাধারণ রোগীদের। যা সাধারন রোগীসহ রোগীর স্বজনদের মনে ভয় ভীতির সঞ্চার করছে। কেবিন ব্লকটির সাথেই পৃথক, পৃথক পুরুষ ও মহিলাদের মেডিসিন ওয়ার্ড।
বর্তমানে ওই মেডিসিন ওয়ার্ডে পুরুষ ও মহিলা রুগী মিলে মোট ৫০ জন ভর্তি আছে।
পুরুষ ওয়ার্ডের ১নং বেডের রোগী আলম মিয়া (৩২) বলেন, বুকে ব্যাথা নিয়ে আজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আমি একটি কেবিন চেয়েছিলাম। কিন্তু, পরে জানলাম ওখানে করোনা রোগীরা থাকছে। বাধ্য হয়ে আতংক নিয়ে এখানে থাকছি।
২নং বেডের অসুস্থ নানাকে দেখতে আসা আনোয়ার হোসেন (২৫) বলেন, আমি সহ পরিবারের কয়েকজন অসুস্থ নানাকে দেখতে এসেছি। কিন্তু পাশেই করোনা রোগী থাকায় নানাকে এখানে রাখা ঝুকিপুর্ন মনে করছি।
এছাড়াও হাসাপাতালে আসা কয়েকজন বলেন, শুনেছি হাসপাতালে করোনা ও সাধারন রোগীরা পাশাপাশি থাকছেন। যা হাসপাতাল কতৃপক্ষের গাফিলতি ছাড়া কিছুই নয়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হাসপাতালে জায়গা সংকট। তাই, আপাতত চতুর্থ তলায় কেবিন ব্লকে করোনা আক্রান্ত রোগী রাখা হয়েছে। আগামী মাসে কেবিন ব্লকটি সাধারন রোগীদের জন্য ছেড়ে দেয়া হবে।