স্টাফ রিপোর্টার॥ লালমনিরহাটে শেষ সম্বল বসতভিটা ও চাষাবাদের ৩৩ শতক জমি রক্ষায় প্রতিপক্ষ প্রভাবশালীদের মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমায় হয়রানীর শিকার হয়ে নিঃস্ব ফৈমুদ্দিন শুধুই কাঁদছেন। জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের পূর্ব গুড়িয়াদহ গ্রামের মৃত আলাবদ্দিনের পুত্র খইমুদ্দিন ওরফে ফৈমুদ্দিন ও পাশ্ববর্তী পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের বৈরাগী কুমর গ্রামের জাফর উদ্দিনের পুত্র ওছমান আলীর সাথে তফশীল বর্ণিত জেলা ও থানা- লালমনিরহাট, মৌজা- পূর্বগুড়িয়াদহ, জেএলনং- ৭২, সিএস খতিয়ান নং- ৬৫, এসএ খতিয়ান নং- ৪৮, দাগ নং- ২৫১, জমি .৩৩ একর নিয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলছে। যার মামলা নং- মিছ- ৬/২০০৯ইং। উক্ত মামলা প্রসঙ্গে সব হারিয়ে নিঃস্ব খইমুদ্দিন ওরফে ফৈমুদ্দিন অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, আমাদের অনেক জমিজমা ছিল। আমি ছোট থাকাবস্থায় আমার বাবা মারা যায়। পরে আমাদের জমিজমা সব এলাকার লোকজনকে বর্গা দিয়ে নানার বাড়িতে মাসহ চলে যাই। নানার বাড়িতে কিছু দিন থাকার পর আমার মাও মারা যান। আমি এতিম হয়ে যাই। অভাবের কারণে অন্যর বাড়িতে থাকি। একটু বুঝ হওয়ার পর বাবার ভিটা মাটিতে চলে আসি। এসে জমিজমা বুঝে চাইলে কেউ আর আমার জমিজমা ফেরত দেন না। জমির সব কাগজপত্র ঠিকঠাক আছে। তারা নয়ছয় কাগজপত্র তৈরি করে গায়ের জোড় আর টাকার জোড়ে আমার সব জমি তারা দখল করে নিয়েছে। আজ জীবনের শেষ বয়সে শেষ সম্বল বসতভিটা ও চাষাবাদের ৩৩ শতক জমি রক্ষায় প্রতিপক্ষ প্রভাবশালীদের মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমায় হয়রানীর শিকার হচ্ছি বার বার। শেষ সম্বল ৩৩ শতক জমিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছি। নিঃস্ব খইমুদ্দিন ওরফে ফৈমুদ্দিন আরও বলেন, আমাকে ভিটাছাড়া করতে টাকার জোড়ে মামলায় মিথ্যা সাক্ষী দেয়া হচ্ছে। আমার টাকা নেই, তাই আমার পক্ষে সাক্ষীরা সত্য কথা বলছেন না। যার কেউ নেই, তার তো আল্লা আছে ব্যাহে।