আসাদুল ইসলাম সবুজ ।। লালমনিরহাটে অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শিক্ষক স্বামী জিয়াউল হায়দার (৫৪) এর পর এবার শিক্ষিকা স্ত্রী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাকোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা উম্মে কুলছুম হ্যাপী (৫৫) মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়, করোনায় শিক্ষিকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃত্যুর আগে নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলে ওই শিক্ষিকার পজিটিভ আসে। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে, তার তার স্বামী জিয়াউল হায়দার (৫৪) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার স্বামীও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ মরানদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তারা লালমনিরহাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাপটানা বাজার এলাকার বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, মানুষকে অনেকবার সচেতন করার পরেও তারা কেউ কথা শুনেননি। যে কারণে পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। শনিবার (২৬ জুন) সকাল ৬টা থেকে এই বিধিনিষেধ কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৩৪৩ জন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১২২ জন।