চরম কষ্ট আর দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে চলছে লালমনিরহাটে একই পরিবারের চার প্রতিবন্ধীর জীবনযাপন। থাকেন শহরের শহীদ শাহজাহান কলোনীর বস্তি এলাকায় ভাড়াটে এক বাড়ীতে। ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন সংসার চলে তাদের। কিন্তু সঠিকভাবে মিলছে না দু’মুঠো অন্নের সংস্থান।
জানা যায়, স্বামী আব্দুল লতিফের মৃত্যুর পর ২৬ বছর ধরে শারিরীক প্রতিবন্ধী মনিজা বেওয়া তার প্রতিবন্ধী এক কন্যা মাহমুদা আক্তার এবং প্রতিবন্ধী দুই ছেলে মাসুদ রানা ও মানিক ইসলামকে নিয়ে বেঁচে আছেন বহু কষ্টে। বংশগতভাবে অটোজোমাল ডমিনেট ডিজিজ এর কারণে তাদেরকে বহন করতে হচ্ছে প্রতিবন্ধীতার অভিশাপ আর তাই বংশের অন্যরা কেউই রাখছেন না তাদের খবর।
মা প্রতিবন্ধী মনিজা বেওয়া তার ছোট ছেলে প্রতিবন্ধী মানিক ইসলামকে সাথে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করেন ট্রেনে ট্রেনে। দিনভর সামান্য আয়ে টানা পোড়নের মধ্য দিয়ে চলছে সংসার। প্রকৃতিক দুর্যোগে ঘর থেকে মাঝেমধ্য বাহির হওয়ার রুপায় না হলে সেই দিন অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হয় তাদের।
এলাকাবাসী জানান, তাদের মুখাকৃতি অস্বাভাবিক হওয়ায় তারা শিশুদের ভয়ের কারনও তাই সবখানে যেতে পারেন না। শরীর অস্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি তারা সকলেই কম দৃষ্টি সম্পন্ন। স্বপ্ন দেখা এই প্রতিবন্ধী পরিবারটির সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে সরকার ও সমাজের দয়ালু মানুষ এমনটিই প্রত্যাশা স্থানীয় মানুষের।
প্রতিবন্ধী (ছোট ছেলে) মানিক ইসলাম জানান, তার বড় বোন আর ভাই প্রতিবন্ধী হওয়ার পাশাপাশি শারিরীক ভাবে খুবেই দুর্বল। তাই তারা কিছুই করতে পারে না। সব সময় বাড়ীতে বসে থাকে। আর তার মা সহ সে ভিক্ষা করে জীবন চালায়। তাদের আশা সরকারি ভাবে তাদেরকে যদি ঘর ও ছোট কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয় তাহলে আর ভিক্ষাবৃত্তি করতেন না তারা।
প্রতিবন্ধী মা মনিজা বেওয়া জানান, তিনি সহ তার তিন সন্তান বংশগতভাবে অটোজোমাল ডমিনেট ডিজিজ এর কারণে প্রতিবন্ধী। তার আত্মীয়-স্বজন কেউই রাখছেন না কোন খবর, করছেন না সহযোগিতা। ফলে বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামতে হয়েছে তাদের। তাই ছোট ছেলে মানিককে নিয়ে অতিকষ্টে ভিক্ষা করে জীবন চালাচ্ছেন তারা।