স্টাফ রিপোর্টার ।। লালমনিরহাটে গৃহবধূ মরিয়ম বেগমকে উদ্ধার ও অপহরনকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেছে তার স্বামী, দুই শিশু সন্তানসহ পরিবারের লোকজন। দীর্ঘ ২২ দিন ধরে উদ্ধার না হওয়ায় বুধবার (২৪ মার্চ) লালমনিরহাট পৌরসভার খোচাবাড়ী আল হিকমাহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মরিয়মের স্বামী মোঃ নাজদুল হুদা বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর আগে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের খেদাবাগ গ্রামের মরিয়ম বেগমের সঙ্গে প্রেম করে আমরা ইসলামী শরিয়া ও সরকারিভাবে বিয়ে করি।
কিন্তু এই বিয়ে মেনে না নেয়ায় প্রথম থেকেই আমার বাবা, মা ও ভাইসহ পরিবারে লোকজন অর্থাত আমার স্ত্রী মরিয়ম বেগমের স্বশুর মোঃ নুরনবী, শ্বাশুরী মোছঃ নুর নাহারসহ পরিবারের লোকজন মরিয়মের উপর শারীরিক, মানষিকভাবে নির্যাতর করে আসছিল দীর্ঘ দিন ধরে। এরই মধ্যে আমাদের সংসাদের দুই সন্তান জন্ম গ্রহন করে। আমাদের দীর্ঘ ১৮ বছরের সংসার জীবনেও আমার ও আমার স্ত্রী মরিয়ম বেগমের সঙ্গে আমার পরিবারের লোকজনের সাথে সময়ে অসময়ে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো।
এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে শালিক বৈঠকে আপোষ মিমাংসার প্রস্তাব দেয়া হলেও তাতে কোন সুরাহা হয়নি। আবার বাবা, মা ও বাড়ীর লোকজন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে কয়েক দফায় অপহরন করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি জীবনের নিরাপত্তা
চেয়ে মরিয়ম বেগম ও আমি নাজমুল হুদা লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাত করি এবং মোঃ রিপন মিয়া, মোঃ সাইফুল ইসলামসহ মোঃ রিয়াজুল ইসলামের নামে মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে।
ধারনা করা হচ্ছে যে আমার বাড়ীর লোকজন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে গত ০২/০৩/২০২১ ইং তারিখে সন্ধ্যায় মরিয়ম বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরন করে নিয়ে যায় যা দীর্ঘ ২২ দিন পরেও মরিয়ম বেগমকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপরে মরিয়ম বেগমের ভাই মোঃ মিজানুর রহমার তিনজনকে আসামী করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। যার নং- ০৯, তাং- ০৪/০৩/২০২১। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।