স্টাফ রিপোর্টার।। বিয়ের এক বছর যেতে না যেতে যৌতুকের দাবীতে লালমনিরহাটের এক গৃহবধুকে অমানসিক নির্যাতনে অভিযোগ উঠেছে। যৌতুক লোভী স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুরির
নির্যাতনের শিকার গৃহবধু মরিয়ম বেগম মনির সারা শরীরে ক্ষত নিয়ে সদর হাসপাতালে বেডে কাতরাচ্ছে। এ ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে সদর থানার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা চওড়াটারী গ্রামের মমিনুর ইসলামের মেয়ের সাথে প্রায় এক বছর পূর্বে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের গুড়িয়াদহ গ্রামের নুর ইসলাম কাচুয়ার ছেলে আরিফুল মিয়ার। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের জন্য বাবা অতিকষ্টে ২ লক্ষ টাকা দেন। বিয়ের পর তাদের কয়েকমাস সুখের ঘর সংসার হলেও এখন নির্যাতনে সংসার চলছে। প্রায় সময় গৃহবধূর যৌতুক লোভী শ্বশুর নুর ইসলাম কাচুয়া ও শ্বাশুরি আঞ্জু বেগম ছেলে আরিফুল মিয়াকে দিয়ে গৃহবধূর নিকট ৩ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবী করেন। কিন্তু গৃহবধূর বাবা অসহায় হওয়ার দাবীকৃত যৌতুকের ৩ লক্ষ টাকা অানতে অস্বীকার করায় শুরু হয় নানান ভাবে নির্যাতন। এর একপর্যায় (২৫ মে) বিকাল ৫টায় আবারও সেই যৌতুকের দাবীকৃত টাকার জন্য মরিয়ম বেগম মনিকে স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি মিলে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধরক মারপিট করে সারা শরীরে ক্ষতবিক্ষত জখম সৃষ্টি করেন। এতে গৃহবধূ মাটিতে লুঠিয়ে পড়লে তাকে ঘরের ভিতর তালাবন্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে মরিয়ম বেগম মনির বাবার বাড়ি থেকে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। যার রেজিঃ নং-১৬৮৮/২৩৩, বেড নং-৪৯, তাং ২৫/০৫/২২ইং।
এ ঘটনায় মনির মা রোশনা বেগম মনো বাদী হয়ে মনির স্বামী আরিফুল মিয়া, শ্বশুর নুর ইসলাম কাচুয়া ও শ্বাশুড়ি আঞ্জু বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহা আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে। মিমাংসা না হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।