বাংলার সংবাদ ডেস্ক ।। আগামীকাল থেকে আপনাদের ঘরের বাইরে দেখতে চাই না মন্তব্য করে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বুধবার থেকে শুরু হওয়া এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউনের সময়ে জনসাধারণকে ঘরের বাইরে দেখতে চান না।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাজারবাগ পুলিশ লাইন অডিটোরিয়ামে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে বিধিনিষেধ চলাকালে জরুরি প্রয়োজনে মুভমেন্ট পাস অ্যাপসের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন পুলিশ প্রধান।
তবে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া যাবে বলে জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে এবং বাইরে থেকে ঘরে ফিরে স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার হতে হবে। আপনার মাধ্যমে যেন কেউ করোনায় সংক্রমিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বক্তব্যে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়ার সুযোগ নিয়ে রাস্তায় জটলা পাকানো ও হাতিরঝিলে বা অন্য কোথায়ও গিয়ে তরুণ-তরুণীদের আড্ডা না দেয়ার আহ্বান জানান আইজিপি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, বাজার, করোনার টিকার ডেট থাকলে অতিপ্রয়োজনীয় কাজ থাকলেও বের হওয়া যাবে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর যাওয়ার প্রয়োজন হলেও মুভমেন্ট পাস লাগবে।
এক ঘণ্টায় এক লাখ মুভমেন্ট পাসের আবেদন জমা পড়েছে বলেও জানান আইজিপি।
মিথ্যা বলে কেউ মুভমেন্ট পাস নিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, ঢাকার বাইরে গেলে মুভমেন্ট পাস লাগবে। এছাড়াও একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে ও একটি গাড়ির নম্বর দিয়ে একাধিক পাস নেয়া যাবে না। মুভমেন্ট পাস নিতে আমরা কাউকে বাধ্য করছি না। এটাকে সাপোর্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান লকডাউনে মানুষের অনিয়ন্ত্রিত ও অপ্রয়োজনীয় চলাচল রোধে এবং জরুরি বিশেষ প্রয়োজনে যাতায়াত নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ চালু করেছে মুভমেন্ট পাস (MOVEMENT PASS) অ্যাপ। বিধি-নিষেধ চলাকালে ঘরের বাইরে একান্ত প্রয়োজনে যেতে হলে ‘পাস’ সংগ্রহ করতে হবে।
দেশের যে কোনো নাগরিক ওই অ্যাপের মাধ্যমে কয়েকটি তথ্য সরবরাহ করে খুব সহজেই এ ‘পাস’ সংগ্রহ করতে পারবেন। এ অ্যাপটি ব্যবহার করলে একদিকে যেমন জরুরি প্রয়োজনে নাগরিকদের চলাচল নিশ্চিত করা যাবে, অন্যদিকে মানুষের অপ্রয়োজনীয় ও অনিয়ন্ত্রিত চলাচলও বন্ধ করা যাবে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় এই ক্রান্তিকালে আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকার ইতোমধ্যে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে। এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তিগত সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। আমাদের উচিত অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে স্বাস্থ্যবিধি মানা, বাহিরে গেলে অবশ্যই সঠিকভাবে মাস্ক পরা, ঘনঘন সাবান পানি দিয়ে অথবা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা।