দীর্ঘদিনেও রাস্তা সংস্কার না করায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষকে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কিসামত চোংগাদ্বারা কালীমন্দির পাকা রোড থেকে ওকড়াবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি সংস্কার না করায় বছরের পর বছর থেকে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক নারী ও পুরুষসহ শিশুদের রাস্তাটি দিয়ে যাতায়ত খুব কষ্ট কর।
জানা যায়, এরাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে। বালু ও ইট ভর্তি ট্রাক, লড়ি সহ ভারী যানবাহন চলাচল করার কারনে দিনের পর দিন বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে রাস্তাটি।
এলাকাবাসী আব্দুস সালাম, সাবেক ইউপি সচিব শহিদুল ইসলাম বলেন, আমারা এলাকাবাসী বছরের পর বছর থেকে অনেক কষ্ট করেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছি। বাড়ীতে কেউ অসুস্থ্য হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে রোগী আরো বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। অনেক সময় রাস্তাতেই মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বর্তমান এমপি সাহেব নিজেই একবার এলাকায় এসে দ্রুত রাস্তাটি পাকা করার কথা বললেও এখনো কোন কাজ শুরু হয়নি।তারা দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের আকুতি জানান।
রাস্তাদিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী কৃষ্ণ কুমার পাল বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সারা বছর কষ্ট করে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়।
তিনি আরো বলেন, বর্ষাকাল আসলে অনেক সময় কাদা পানিতে পরে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। অন্য উপায় না থাকায় এ পথেই চলাচল করতে হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজগার আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য জি এম কাদের ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানসহ কারো কাছে রাস্তাটি পাকা করে দেয়ার জন্য বলতে বাকী রাখিনি।
পরিষদের এলজিএসপি ফান্ড থেকে ও রাস্তাটি সংস্কার করার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছি। সে ফান্ড থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান সাহেব তার বাড়ীর সামনের রাস্তাটি পাকা করেছেন। চলাচলের অনুপযুক্ত এ রাস্তাটি যেমন আছে তেমনই রয়ে গেল।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য হারাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ও তাকে পাওয়া যায়নি
৪নং ইউপি সদস্য আজগার আলী সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে এলাকার মানুষের দুর্দশা লাঘবে উপজেলা চেয়ারম্যান সহ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনের অনুরোধ জানান।