বাংলার সংবাদ ডেস্ক ।। চলমান লকডাউনের মধ্যে রবিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন শপিংমল ও বিপনিবিতাণ। তবে লকডাউন সময়ে মার্কেটে যেতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের লাগবে মুভমেন্ট পাস।
তবে আগের ঘোষণা অনুযায়ী যেসব পেশার মানুষের মুভমেন্ট পাস লাগবে না বলে জানানো হয়েছে। তাদের শপিংমলে যেতেও পাশ লাগবে না। তাদের ক্ষেত্রে নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্রই মুভমেন্ট পাস হিসেবে গণ্য করা হবে।
পুলিশ সদরদফতর থেকে এখন পর্যন্ত এমন তথ্যই দেওয়া হয়েছে। অবশ্য শপিংমল খোলার বিষয়ে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন’ চলাকালীন সময় জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলাচলের জন্য ১৪টি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হচ্ছে ‘মুভমেন্ট পাস’। এগুলোর মধ্যে-, মুদি দোকানে কেনাকাটা, কাঁচা বাজার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত, কৃষিকাজ, পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ, ত্রাণ বিতরণ, পাইকারি বা খুচরা ক্রয়, পর্যটন, মরদেহ সৎকার, ব্যবসা ইত্যাদি। এছাড়া যাদের বাইরে চলাফেরা প্রয়োজন কিন্তু কোনো ক্যাটাগরির সঙ্গে মিল নেই, তাদের অন্যান্য ক্যাটাগরিতে পাস দেওয়া হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে ‘লকডাউনে’ কেনাকাটা করতে মার্কেটে যাবেন, নিয়মানুযায়ী তাদেরও ‘মুভমেন্ট পাস’ দেখাতে হবে।
এবিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী উপ-মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা বলেন, লকডাউন’ চলাকালীন সময়ে জরুরি প্রয়োজনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে যেতে সবাইকে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিতে হবে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ‘মুভমেন্ট পাস’ দেওয়া হবে।
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার জনসমাগম এড়াতে প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সে সময় সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু ছিল।
এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সব ধরনের অফিস ও পরিবহন বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তবে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।