মোতাহার হোসেন, মিঠাপুকুর (রংপুর) থেকে ।। রংপুরের মিঠাপুকুরে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মিঠাপুকুর উপজেলায় এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৭৭ জন। এর মধ্যে ২৯৪ জন সুস্থ হয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছে ৭৪ জন। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো, বিগত সময়ের চেয়ে মিঠাপুকুরে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে অনেক বেশি।
চলতি মাসের (২৬ থেকে ২৯জুন) পর্যন্ত গত তিন দিনে ৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে মৃত্যুর তালিকায় ১ জন যুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মিঠাপুকুরে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা হলো ৯ জন। তবে মিঠাপুকুরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেলেও বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে বিধি-নিষেধ না মানার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। প্রশাাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হলেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এবিষয়ে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ সচেতন মহলের।
উপজেলার মাসিমপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলাম বলেন, হাটবাজারে মাস্ক ছাড়াই শত শত মানুষের সমাগম ঘটছে। কেউ ইচ্ছে করেই মাস্ক পড়ছেন না, আবার কেউ মাস্ক মুখের নিচে ঝুলিয়ে রেখে চলাফেরা করছেন।
তাজনগর গ্রামের নাসির হোসেন বলেন, অনেক হোটেলে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সের মানুষ হোটেলগুলোতে মুখরোচক খাবার খেতে ভিড় জমায় এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
শিক্ষক বদিউজ্জামান বলেন, মিঠাপুকুরে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক। করোনা প্রতিরোধে প্রশাসন কঠোর হয়ে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করা উচিত। তা না হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে, তখন আরো বড় বিপর্যয় নেমে আসবে।
মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মমিনুল ইসলাম বলেন, মিঠাপুকুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে এজন্য সচেতনতার বিকল্প নেই। চিকিৎসা সেবার জন্য যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সার্বিক ব্যাবস্থা আছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুন ভুঁইয়ার সহিত যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে অফিসে এবং তাঁর ব্যবহৃত সরকারী মোবাইলফোনে পাওয়া যায় নাই।