মোতাহার হোসেন, মিঠাপুকুর (রংপুর) থেকে ।। রংপুরের মিঠাপুকুরে ধানক্ষেতে কীটনাশক ছিটিয়ে বিনষ্ট করার অভিযোগ তুলেছেন এক নারী। তার স্বামীর হত্যাকারীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ওই নারী অভিযোগ করেছেন। জীবনের সবটুকু পুঁজি বিনিয়োগ করা ধানক্ষেত বিনষ্ট হওয়ায় চার সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ওই নারী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলামকে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়ে বিরোধে গত বছরের ১২ মে পিটিয়ে হত্যা করে তারই ভাই ও ভাবি। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মশিয়ার, ভাবি ফেরদৌসি ও ভাইয়ের মেয়ে মৌসুমি আক্তারকে আসামী করে থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন। চার সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন নিলুফা। ৬ মাস আগে আসামীরা জামিনে বেরিয়ে আসে। তারা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদিকে হুমকী দেয়। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকী দেয় আসামীরা।
চলতি মৌসুমে স্বামীর ১৬ শতক জমিতে বিআর ২৯ জাতের ধান চাষ করেছেন নিলুফা। ধানপেকে কাটার উপক্রম হয়েছে। বুধবার রাতে ধানক্ষেতে কীটনাশক ছিটিয়ে দেয় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। এতে ধানক্ষেত পুড়ে বিনষ্ট হয়ে যায়। স্বামীর হত্যা মামলায় স্বাক্ষী করায় তার ননদ মল্লিকা বেগমের ১২ শতক জমির ধানক্ষেতেও কীটনাশক ছিটিয়ে বিনষ্ট করে দেয় দুর্বৃত্তরা।
নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘এক বছর আগে মোর স্বামী ধন কোনাক ওরা মারি ফেলাইছে। এখন মোক হুমকী দেওচে। ৪টা ছইল নিয়া স্বামীর জমিত আবাদ করি কোনো কষ্ট করি জীবন চলাওচো। শত্রুরা জমিত বিষ দিয়া ধানক্ষেত নষ্ট করি দেচে। এখন মুই ছইলগুলাক নিয়া কি খায়া বাঁচমো।’ এ ঘটনায় নিলুফা ও ননদ মল্লিকা বেগম থানায় পৃথকভাবে অভিযোগ দিয়েছেন।
মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।