মোঃ রাশেদুল ইসলাম, পঞ্চগড় ।। পঞ্চগড়ে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ভিকটিমের পরিবারকে নগদ অর্থ সহযোগিতা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা পিপিএম।
সোমবার (২৬-জুলাই) সদর উপজেলার ৫নং চাকলাহাট ইউনিয়নের নারায়ণপুর ডাংঙ্গাপাড়া এলাকায় একটি নারী শিশু মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তিনি এই নগদ অর্থ সহযোগিতা করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে । সবার মুখে মুখে প্রশংসার বানি ।স্থানীয়রা জানান, পুলিশ সম্পর্কে আমাদের সবারই একটা খারাপ ধারণা ছিল ।কিন্তু আজকে সদর থানার ওসি মামলার তদন্ত করতে এসে মামলার বাদীর পরিবারকে নগদ অর্থ সহযোগিতা করেছে যা এই এলাকার মানুষ ইতিপূর্বে কখনো দেখিনি ।
মামলার বাদী মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, আমার ভাই মোঃ আব্দুল মতিন মানসিক প্রতিবন্ধী ।তারা স্বামী স্ত্রী ও ছোট ছোট তিন সন্তান মিলে খুব কষ্টে একটা ঘরে দিন পার করেন। তাদের বড় মেয়ে সাত বছর বয়সী লাম-ইয়া র সাথে খুব অন্যায় করেছে স্থানীয় এক বাসিন্দা । তাই অভিবাবক হয়ে (২৫-জুলাই) সন্ধ্যায় আমি থানায় অভিযোগ করি। পরবর্তীতে রাতেই পুলিশ আসে আসামী গ্রেফতার করতে । কিন্তু আসামী পলাতক থাকায় আটক করতে পারেনি।আজকে সকালে ওসি নিজেই ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে আসে ।
পরিবারটির অসহায় অবস্থা দেখে মোছাঃ লাম-ইয়া এর মায়ের হাতে কিছু টাকা দিয়েছে। এবং রাতে তিনি হাসপাতালে লাম-ইয়াকে যখন দেখতে যান তখন লাম-ইয়ার জন্য খাবার নিয়ে যায় । অভিযোগ এর পর থেকে পুলিশ অনেক তৎপর রয়েছে ।আমরা এখানো কথাও কোন টাকা পয়সা দেই নি ।
পুলিশের সেবা প্রদানের ধরন দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ । তিনি থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা পিপিএম এর আচরণের অনেক প্রশংসা করেন ।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার পঞ্চগড় মোঃ ইউসুফ আলী বলেন, অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিঞা পিপিএম যে কাজটি করেছেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয় ও মহান একটি কাজ । দ্বায়িত্ব পালন কালে পরিবারটির দূরাবস্থা দেখে তার মনুষ্যত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে । যার কারনে তিনি ব্যক্তি গত ভাবে পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে । এর জন্য আলাদা কোন খাত নেই । তিনি যেটা করেছেন মানবিক ভাবে এবং ব্যক্তিগত ভাবেই করেছেন ।