ভাল নেই, বাপ-দাদারা আমলীয় তিস্তা শুটকি বন্দর ব্যবসায়ীরা। শুটকি মাছ অনেকেরই প্রিয়। ভর্তা সহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের জন্য অনেকেই পছন্দ করেন শুটকি মাছ।লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর কোলঘেষে এক সময়ের দেশের ঐতিহ্যবাহী তিস্তা শুটকি বন্দরটি অবস্থিত।
জানা যায়, ব্রিটিশ আমলে এই শুটকি বন্দরটি এখানে স্থাপিত হয়। সে সময় চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা নৌকায় করে শুটকি নিয়ে আসতো এখানে। এবং সেই, শুটকি বর্তমান ভারতের কলকাতাসহ অন্যান্য জায়গায়ও যেত। অনেকেই ক্রেতা, বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম থাকতো এলাকাটি।
এখনও মাঝেমধ্যে অনেকেই এখানকার আড়তে এসে শুটকি মাছ কিনে দেশ-বিদেশের আপনজনদের কাছে পাঠান।তবুও নেই আগের জৌলুস।এক সময় শতশত শ্রমিক কাজ করতো এখানে। কাজ না থাকায় তাদের অনেকেই এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। বর্তমানে, ক্রেতার অভাবে এ ব্যবসা ছেড়েছেন অনেকেই। তাদের অনেকেই এখন বেকার।
কেওবা পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে ধরে রেখেছেন ব্যবসা। কিন্তু, লোকসানের কারণে তারাও খুব ভালো নেই। দীর্ঘদিনের করোনা পরিস্থিতিতে তারাও রয়েছেন পুজির সল্পতায়।
কথা হয়, ব্যবসায়ী কলিম শেখ (৫৬) সাথে। তিনি বলেন, বাপ, দাদারা এ ব্যবসা করেছে।পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে লোকসানের মাঝেও ব্যবসাটি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি।সরকারি সহায়তা পেলে আমার মতো অনেকেই ব্যবসাটি ধরে রাখতে পারবে। ঐতিহ্য ফিরে পাবে তিস্তা শুটকি বন্দর।