বাংলার সংবাদ ডেস্ক ।। আওয়ামী লীগ দলে বিদ্রোহ দমনে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। চলমান পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য এদের বহিষ্কার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলতি মাসেই আওয়ামী লীগের অন্তত ৫০ জন বিদ্রোহী প্রার্থী দল থেকে বহিষ্কৃত হতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র গুলো বলছে, বিদ্রোহী প্রার্থীদের অধিকাংশই ‘পুতুল’ মাত্র। তাদের পেছনে রয়েছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজস্ব উদ্যোগে, তার টীম দিয়ে সারাদেশে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মাধ্যমে সারাদেশের সাংগঠনিক রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র গুলো বলছে, সারাদেশে শেখ হাসিনার তথ্য সংগ্রহ এবং সাংগঠনিক রিপোর্টের ভিত্তিতে, আওয়ামী লীগের ৩৪ জন সংসদ সদস্য অভিযুক্ত হয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে ৩ ধরনের অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
অভিযোগ গুলো হলো, ১. নিজের পছন্দের প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তাকেসতন্ত্র হিসেবে দাড় করানো এবং নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাকে জিতিয়ে আনার জন্য প্রভাব বিস্তার। ২. নৌকার প্রার্থী এমপির পছন্দের এবং অনুগত না হওয়ায় তাকে সহযোগিতা না করা এবং হারানোর জন্য প্রচেষ্টা। ৩. নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় থাকা।
আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, এই ৩৪ জন এমপি শেখ হাসিনার লাল কালিতে নাম লিখিয়েছেন। এর ফলে দল থেকে আপাতত: বহিষ্কৃত না হলেও ভবিষ্যতে এদের জন্য কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, ভবিষ্যতে তারা সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন না। তাদের পর্যায়ক্রমে দলের এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবার দলের বিদ্রোহীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। তাই কয়েকজন এমপি যদি দল থেকে বহিষ্কৃত হন, সংসদ সদস্য পদ হারান, তাহলেও অবাক হবার কিছু নেই। সূত্র: বাংলা ইনসাইডার