লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কে,ডি বুড়িকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ জরুরী হয়ে পরেছে। বাউন্ডারি ওয়াল না থাকা বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যালয় মাঠে গরু-ছাগল ইচ্ছামত বেঁধে রাখার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার করছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে সব সময় উদ্বিগ্ন থাকেন শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা।
জানা যায়, সদর উপজেলার অদুরে কে,ডি বুড়িকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ৭৯ শতক জমির উপর অবস্থিত। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টিত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থী মানসম্মত শিক্ষা দিয়ে আসছেন। সুনামের ধারাবাহিকতায় বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ২২৩ কোমলমতি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। শিক্ষাদানে সাফল্য রাখলেও বিদ্যালয়টির চারপাশে কোন বাউন্ডারি নেই। অবাধে পথচারীদের চলাচলসহ গরু-ছাগল ইচ্ছামত বেঁধে রাখছেন। এতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের পার্শ্বে পাকা রাস্তায় প্রতিদিন বাজার বসার কারণে রাস্তাটি সবসময় যানবাহন চলাচল করে। বিদ্যালয়টির মাঠ দিয়ে অবাধে যানবাহন রাখছেন এবং আসা-যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা আশংকা রয়েছে। তাছাড়াও প্রতিদিন বাজার বসার কারণে, বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালীন সময়ে মানুষের কোলাহল লেগেই থাকে। ফলে শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার মাঝেমধ্যে ব্যাহত হচ্ছে।
কে,ডি বুড়িকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষা রাস্তায় কথা হয় ছমির উদ্দিন (৫৬) নামে একজন অভিভাবকের সাথে। তিনি বলেন, মহামারি করোনার কারণে অনেকদিন পড়ে স্কুল খোলায় আমার মেয়ে ক্লাস করে বের হবার সময় স্কুলের মাঠে মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা খেয়ে অসুস্থ হয়। যদি বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি থাকত, তাহলে কি এসব দুর্ঘটনা ঘটত। মনে হয় এসব দুর্ঘটনা রোধে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ জরুরী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল চন্দ্র রায় বলেন, ২০১৫ সাল থেকে আমি এখানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। বাউন্ডারি ওয়ালের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে
অনেকবারই জানিয়েছি। দীঘ ৭ বছরের দাবী এখনও তার বাস্তবায়ন হয়নি।
প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, ঢেপঢেপির বাজার থেকে ঠাকুরের মাল্লি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তায় সবসময় যানবাহন চলাচল করে। স্কুলের সামনে প্রতিদিন বাজার বসে। অনেক ক্রেতা খোলা জায়গা পেয়ে স্কুলের মাঠে যানবাহন রাখেন। এতে করে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার সময় অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। তাই এ বিদ্যালয়টির বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ খুবেই জরুরী হয়ে পড়েছে।