পিন্টু কুমার সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ বিয়ের ৭ বছর পর পরকিয়ায় জড়িয়ে তালাকের পর এক নারী গত দুইদিন ধরে নতুন প্রেমিক ফিরোজ মন্ডলের বাড়ির উঠানে অবস্থান করছেন তিনি।
মৌসুমির স্বামী মোঃ এনামুল হক একজন কৃষক।
সোমরার দুপুর থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন মৌসুমি বেগম ।
ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটী ইউনিয়নের হাউদার ভিটা গ্রামে। প্রেমিক একই এলাকার মৃত হান্নান মন্ডলের ছেলে ফিরোজ মন্ডল ।
সরেজমিনে গিয়ে ওই নারীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, দীর্ঘ ৭/৮ আগে সংসার ভাঙ্গার ভয় ও বিভিন্ন হুমকি ধামকী দিয়ে ফিরোজ মন্ডল তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন। সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোসুমিকে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করেন। ইতোমধ্যে একাধিকবার তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হলেও গত পনের/বিশ দিন আগে মৌসুমীর স্বামী এনামুল হক নিজের বাড়িতে আপত্তিকর অবস্থায় ফিরোজ মন্ডল ও মৌসুমীকে দেখে ফেলেন এবং মৌসুমিকে তালাক দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেড় হয়ে যেতে বলেন।
মৌসুমী আরোও জানান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইতোমধ্যে ফিরোজ মন্ডল একাধিক বার তার নিকট হইতে বিভিন্ন উপায়ে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন।
এদিকে গত ১৮/০৪/২০২২ ইং তারিখে মৌসুমিকে তালাক প্রদান করেন এনামুল হক।
এরপর মৌসুমি বলেন আমাদের প্রেমের কোন পরিনতি ও উপায় না থাকায় ফিরোজ মন্ডলের আশ্বাসেই আমি তার বাড়িতে আসি।ফিরোজ ও আমি দুজন দুজনকে অনেক ভালবাসি । ফিরোজ আমাকে বিয়ে না করলে আমার মৃত্যু ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় উৎসুক জনতা ফিরোজ মন্ডলের বাড়িতে ভিড় করতে থাকে।
মৌসুমি আসার পর থেকেই প্রেমিক ফিরোজ মন্ডল বাড়ী ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ছাপরহাটী চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী এবিষয় সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।