বাংলার সংবাদ ডেস্ক ।। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর হোসেন মিন্টু।
চিঠিতে জরুরিভাবে ১১টি কর্তব্য পূরণ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- অক্সিজেন, ওষুধ, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী থেকে বিশেষ SRO (Statutory Regulatory Order) এর মাধ্যমে সব ধরনের শুল্ক, অগ্রীম আয়কর, মূসক প্রভৃতি প্রত্যাহার করা। আইসিইউ পরিচালনার জন্য জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। সব ওষুধের মূল্য এবং রোগ পরীক্ষার পদ্ধতিসমূহের চার্জ সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করে দেওয়া।
কারাগারে অবরুদ্ধ সব ব্যক্তিকে দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া এবং খুনের দায়ে এবং দুর্নীতির কারণে দণ্ডিত অভিযুক্ত ছাড়া অন্য সবাইকে জামিনে মুক্তি দেওয়া। সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ সমূহে প্রতি বছর ২০ হাজার ছাত্র ভর্তি করা এবং এমবিবিএস পাশের পর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র এক বছর বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ করানো। অতীতে এই নিয়ম চালু করে দুই সপ্তাহ পর তা প্রত্যাহার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই নিয়ম আবারও চালু করার পরামর্শ দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে চিঠিতে জাফরুল্লাহ চৌধুরী উল্লেখ করেন, ট্রিপসের বাধ্যতামূলক (Compulsory) লাইসেন্সের মাধ্যমে ভ্যাকসিন উৎপাদন সুবিধা সৃষ্টির জন্য নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আপনার বিশেষ দূত করে ইউরোপে পাঠান।
চিঠিতে প্রস্তাব করা হয়, লকডাউন কার্যকর করার জন্য দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোকে সরাসরি আর্থিক প্রণোদনার পরিবর্তে বিনামূল্যে মাসিক রেশনে চাল, ডাল, আটা, আলু, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন প্রভৃতি দিতে হবে। রেশন বিতরণের জন্য সামরিক বাহিনী, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং এনজিওকর্মীদের ব্যবহার সুফল দেবে।
চিঠিতে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করার প্রস্তাব করেন। তিনি উল্লেখ করেন, গত বছর দ্রুত সিনোভ্যাকের ট্রায়াল অনুমোদন না দিয়ে যে ভুল করা হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়।
চিঠিতে জাফরুল্লাহ চৌধুরী লিখেছেন, গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত এন্টিবডি-এন্টিজেন অনুমোদন এক বছরে হয়নি। ড. বিজন কুমার শীলের ভিসা না হওয়ায় বাংলাদেশে ফিরতে পারছেন না। ছয় মাস আগে চার বিজ্ঞানীর তত্ত্বাবধানে রিয়েল টাইম পিসিআর (Real time PCR) ল্যাবরেটরি স্থাপিত হলেও ব্যবহার শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর এখনও অনুমতি দেয়নি। ক্ষতি হচ্ছে দেশের, বিষয়টি আপনাকে পুনরায় অবগত করলাম।
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী লিখেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে জাতির কঠিন সমস্যা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা সমধিক। শেষে প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও নববর্ষের শুভ কামনা করেন তিনি।
প্রিয় পাঠক, আপনিও [নতুন বাংলার সংবাদ] পত্রিকার অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফ স্টাইল বিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন-
bijoynews2011@gmail.com
এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।]