কামরুজ্জামান সেলিম, রংপুর।। রংপুর নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের দ্বিতীয় মেয়ে বেবী নাজনীনের বিয়ে হয়। পীরগাছা উপজেলার পশুয়া মিয়া পাড়া গ্রামের মৃত: শফি উল্লার ছেলে শাহাজাহান সাজুর সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হয়।
মেয়ের সুখের জন্য পরিবার থেকে বিয়ের সময় নগদ ৫লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালোংকার ঘরের আসবাবপত্র সহ প্রায় ১০লক্ষ টাকার সাংসারিক জিনিসপত্র দেওয়া হয়। ৫বছর সংসার জীবনে তাদের ঘরে একজন সন্তান। পারিবারিক সুত্রে জানাযায় বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় বেবি নাজনীনকে ২০,লক্ষ টাকার জন্য নির্যাতন করতো তার মাদকসেবী স্বামী শাহাজান (সাজু)। বেবি নাজনীন সংসারে বিশৃখলা এড়াতে মুখ বন্ধ করে রাখতো সব সময়।এক পর্যায়ে শারিরীক নির্যাতন করিলে ফিরে আসে বাবার বাড়ীতে গিয়ে মা ও ভাইয়ের কাছ থেকে ৭লক্ষ টাকা নিয়ে স্বামীর হাতে বুঝিয়ে দেয়। স্বামী শাহাজান সাজু দলবল নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৮-০৮-২১ ইং তারিখ সন্ধ্যায় পরিকল্পীতভাবে যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী শাহজাহান (সাজু) শাহাবুদ্দিন,শাহ আলম, সাগর মিয়া, হাজেরা বেগম হঠাৎ আমাকে এলোপাথাড়ী কিল ঘুষি দিয়ে মাটিতে ফেলে রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক জখম করে।বেবী নাজনীনের আত্ম চিৎকারে ছুটে এসে রাবেয়া,ওবাইদুল উদ্ধার করে।মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে বেবী নাজনীনের গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দ্রত পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার ভাই দেলোয়ার হোসেন।
এব্যাপারে বেবী নাজনীন বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় স্বামী শাহজাহান (সাজু) শাহাবুদ্দিন,শাহ আলম, সাগর মিয়া,হাজেরা বেগমের নামে নারী নিযার্তনের মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং(২০) ১৯-০-২১।
আসামীরা এখন মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে তাই ন্যায় বিচার পাওয়ায় আশায় পরিবারটি রংপুরের জিআইজি, জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার, নিকট সুবিচারের আশা করছেন।