বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আদালতে হাজিরা দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি। বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তিনি উপস্থিত হোন।
এদিন আদালত চত্বরে প্রবেশের সময় গাড়িতে দাঁড়িয়ে ভক্তদের অভিবাদন জানান পরী। এ সময় আগের বারের মতো তার হাতের তালুতে মেহেদীর রঙে আঁকা ‘রহস্যময়’ বার্তা চোখে পড়ে। যেখানে লেখা, ‘… ক (গালি) মি মোর’। অবশ্য এই বার্তা যে তার নিন্দুকদের উদ্দেশে, সেটা সহজেই অনুমেয়।
আগেরবারের মতোই এবারের লেখাটিও নজর কেড়েছে সবার। হচ্ছে সমালোচনাও। পরীর ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন, এ লেখায় তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তবে কাকে কি উদ্দেশ্যে সেই চ্যালেঞ্জ তা জানা যায়নি।
এবারের বার্তাটি নিয়ে পরীমনি বলেন, আমার কষ্ট লাগছে এখন। অনেকেই আমার বার্তাটি ঠিক বুঝতে পারছেন না, ভুল বুঝছেন। সবাই ভাবছেন আমি লিখেছি ‘লাভ মি মোর’। আসলে তো আমি লিখেছি ‘…ক মি মোর’।
কিন্তু কেন এই বার্তা? জবাবে পরীমনি বলেন, যারা আমার জীবন নিয়ে খেলতে চায় বা ঘাঁটাতে আসে, তাদের সবাইকে আমি ওয়েলকাম করছি। আসো। ওয়েলকাম। আমি প্রস্তুত তোমাদের সঙ্গে এই খেলায় অংশ নিতে। দম যত দিন আছে, আমি শেষ অবধি এই খেলায় লড়ে যাব।
এর আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কারামুক্তি হন পরীমনি।
সে সময় তার হাতে মেহেদী দিয়ে লেখা ছিলো ‘ডোন্ট লাভ মি……’। পরীমনির সেই লেখাটি নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি।
গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
ওইদিনই রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে বনানী থানার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।