মোঃ রাশেদুল ইসলাম, পঞ্চগড় ।। পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের মাগুরা পাড়া এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে চাষাবাদ শুরু করেছে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ অলিয়র রহমান নামের এক ব্যক্তি ।এতে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় সাধারণ মানুষ । এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত ।
ইতিমধ্যে মোঃ অলিয়র রহমান বাদী হয়ে ফসল নষ্ট করার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা ও থানায় অভিযোগ করেছেন ।এবং আরেক পক্ষ বিলুপ্ত সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিস, উপজেলা ভূমি অফিস, এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন । এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ বেলাল হোসেন, মোঃ জহিরুল ইসলাম,মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ শাহিনুর রহমান, নয়ন চন্দ্র বর্মন, মজিদা বেগম বলেন আগে রাস্তাটির তেমন প্রয়োজন ছিল না ।কারন রাস্তাটি বিলুপ্ত প্রায় অনেক পুরোনো একটা রাস্তা ।সংস্কারের অভাবে সময়ের ব্যবধানে রাস্তাটি প্রায় বিলীন হয়ে গেছে ।এবং চলাচলের জন্য সরকারি পাকা রাস্তা রয়েছে ।
কিন্তু এলাকার মানুষ খেতে খামারে যাতায়াত করতে, স্থানীয় কবরস্থানে দাফন কাফন করার জন্য যেতে, বরেন্দ্র পাম্প এ যেতে, মাঠ থেকে ফসল সংগ্রহ করতে ও চাষাবাদের জন্য জমিতে ট্রাক্টর নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তাটির প্রয়োজন । পূর্বে এই রাস্তাটির তেমন প্রয়োজন ছিল না কারন মোঃ অলিয়র রহমান এর রাস্তার পাশের অনেক জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল । ফলে আমরা যে কোন দিক দিয়ে চলাচল করতে পারতাম ।কিন্তু সে ইদানিং সব জমিতে চাষাবাদ শুরু করায় আমাদের চলাচলের জন্য প্রাক্তন রেকডিয় সরকারি রাস্তাটির প্রয়োজন পড়ে ।কিন্তু সে তার নিজের জমির সাথে রেকডিয় রাস্তাটি উঁচু বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে।এবং এর ভেতরে চাষাবাদ শুরু করেছে । সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটি অনেক পুরোনো একটা সরকারি রেকডিয় রাস্তা ।
কিন্তু সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে সংস্কারের অভাবে রাস্তাটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে । তবে স্থানীয়দের বক্তব্য ও তাদের দেওয়া নকশা ও বর্তমান রাস্তার অবস্থান অনুযায়ী পাকা রাস্তা থেকে ফসলি জমিতে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু অংশের রাস্তা স্থানীয়রা ইতিমধ্যে সংস্কার করেছে ।কিন্তু মোঃ অলিয়র রহমান তার নিজস্ব জমির সাথে রাস্তা ঘিরে ফেলায় গ্রামের মানুষ রাস্তার সংস্কারের কাজ শেষ করতে পরে নি। তাদের দাবি পুরো রাস্তাটি নয় রাস্তা থেকে ফসলি জমি, কবর স্থান পর্যন্ত রাস্তাটি উদ্ধার করা হলে আমরা উপকৃত হব ।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি রাস্তাটি উদ্ধার করে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিবো ।ইতিমধ্যে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে যাতে এটা নিয়ে কোন বিবাদ সৃষ্টি না হয় ।এবং রাস্তাটি উদ্ধারের সকল প্রকার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে ।