মোঃ রাশেদুল ইসলাম, পঞ্চগড়।। পঞ্চগড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । কিন্তু লকডাউনের অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ।জেলা শহরে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকার ফলে লকডাউনের অস্তিত্ব থাকলেও জেলার অন্যান্য হাটবাজার ও রাস্তার মানুষের জনসমাগম দেখে বোঝার উপায় নেই যে বর্তমানে লকডাউন চলমান রয়েছে । বিশেষ করে যারা খেটে খাওয়া শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ তারা বেশির ভাগই কোননা কোন কাজে সারাদিন ব্যস্ত সময় পার করছেন।হাট বাজারে তারা অযথা সময় পার করেন না।সংসারের কোন প্রয়োজনে বাজারে গেলেও তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
কিন্তু এক শ্রেনীর মানুষ যারা কোন প্রয়োজন নেই, অথচ বাজারে প্রশাসনের লোকজনের সাথে লুকোচুরি খেলছে।এবং একটি বিশেষ চক্র যারা বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এতে করোনা মহামারী প্রকট আকার ধারণ করার আশংকা বাড়ছে । তেঁতুলিয়া উপজেলার বাসিন্দা মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, আমি সাড়াদিন মাঠে কাজ করি।সংসারে কোন প্রয়োজনে বাজারে গেলেও দেরী করি না ।দুদিন আগে ভজনপুর বাজারে ঔষধ নিতে গেছিলাম তার মধ্যে বেশ কিছু ঔষধ দোকানে নেই।এ নিয়ে আতঙ্ক আরো বাড়ছে ।কিন্তু বাজারে অনেকেই অযথা ঘোরাঘুরি করছে । পুলিশের লোকজন মানুষকে অনেক ভাবে বুঝায় কিন্তু তারা যেন বুঝেও বুঝে না।এমত অবস্থায় প্রশাসনকে কঠোর অবস্থানে যেতে অনুরোধ জানান অনেকেই ।
তবে লকডাউনে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় মোটর পরিবহন শ্রমিকরা বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে । মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং রাজ -২৬৪ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, আমার সংগঠনে পঞ্চগড় জেলায় সাড়ে আট হাজার শ্রমিক আছে । লকডাউনের জন্য তারা অনেক কষ্টে দিনকাল পার করছেন ।সরকারি ভাবে তাদের এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সহায়তা পাননি । হাটবাজার খোলা আছে।কথাও লকডাউনের অস্তিত্ব নেই ।ইজিবাইক, রিক্সা ভ্যান চলছে । বেশী র ভাগ হাট বজারে দোকান খোলা কিন্তু পরিবহন শ্রমিকরা না খেয়ে মরছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে আমরা জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে ব্যাপকভাবে কাজ করছি । সরকারের দেওয়া ত্রাণ সামগ্রী অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে । আমরা মানুষকে বোঝাচ্ছি ঘরে থাকার জন্য ।তার পরেও একশ্রেণীর মানুষ যারা অযথা বাজারে ঘোরাঘুরি করছে এবং তাদের জন্য অন্যান্যরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তিনি সকলকে সাস্থবিধি মেনে চলার এবং কারো করোনার লক্ষণ দেখা দিলে সে যেন তাৎক্ষণিক নমুনা পরীক্ষার জন্য নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করে তার জন্য তিনি সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।