বাংলার সংবাদ ডেস্ক ।। তিস্তা বিষয়ে সুরাহার জন্য ভারত সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। যে কারণে বিষয়টির মীমাংসা হচ্ছে না, আমি সেটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির জন্য ভারত সরকারকে আমাদের অভ্যন্তরীণ একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অনুমোদন নিতে হবে। সেই অনুমোদনের জন্য ভারত সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের হাইকমিশনার দোরাইস্বামী ।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিকাব টকে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এক পর্যায়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকার কথা তুলে ধরে ভারতীয় দূত বলেন, ‘তিস্তার চুক্তির জন্য ভারতের রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। যার জন্য আমরা কাজ করছি। এটা খুবই দুঃখজনক যে রাজ্য সরকারের আপত্তির কারণে তিস্তা চুক্তি এখনো হচ্ছে না। তাই নরেন্দ্র মোদির আসন্ন সফরে তিস্তা বিষয়ক চুক্তি হবে কি না, সেটিও আমি এখনই বলতে পারছি না।’
দোরাইস্বামী বলেন, তিস্তার পানি ভাগ করায় আমরা বিশ্বাসী। শুধু বাংলাদেশ নয়, সবার সাথেই ভাগ করতে চাই। কিন্তু আমাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এটা হয়তো ভালো কিছু নয়, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। এবং আমাদের বাস্তবতা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আপাতত তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে কোন আশা নেই। আমরা সবার সাথে কাজ করে যাচ্ছি।
এর আগে, ২০১৮ সালের ২৫ ও ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের পশ্চিমববঙ্গে দুই দিনের সফর করেন। ওই সফর শেষে ২০১৮ সালের ২৮ মে তৎকালীন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এক প্রেস বিফিংয়ে বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন বা এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গকে পাশ কাটিয়ে ভারত সরকার কিছুই করবে না। কেননা, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এই বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে।
একই ইস্যুতে গত বছরের মার্চে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিস্তা ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বেও কাজ হচ্ছে না।’
তিস্তা চুক্তি নিয়ে এমন অনিশ্চয়তার বিষয়গুলো এর আগেও বারবার বলে আসছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। ভারতীয় দূত দোরাইস্বামীর কথায় তাদের সেই অনিশ্চয়তার কথাই ফিরে আসছে।