স্টাফ রিপোর্টার ।। মোর বাবা ঈদের আগত মোর সাথে কথা কইছে। মোর জন্য টাকা আর শাড়ি নিয়া ঈদত বাড়ি আসির চাইছে। কথাগুলো আঞ্চলিক ভাষায় বলছিনে, সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিহত মিন্টু চন্দ্রের মা ত্রিবিনি বালা। স্বজনদের আর্তনাদ, গ্রাম জুড়ে শোক। ফেসবুকে ভাইরাল ন্যায় বিচারের দাবীতে।
জানা গেছে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াই পাড়া গ্রামের শরৎ চন্দ্র বর্মনের ছেলে মিন্টু চন্দ্র বর্মন। ঢাকা সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এর দায়িত্ব পালন করছিলেন। এমতাবস্থায় গত ১৩ জুলাই (মঙ্গলবার) আশুলিয়ার জামগড়া সংলগ্ন বেরন এলাকার রূপায়ণ মাঠের নিজ বাসা স্বপ্ন নিবাস থেকেই নিখোঁজ হন।
এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ থাকায়, মিন্টুর ছোট ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরবর্তিতে দীর্ঘদিন যাবত কোনরুপ সন্ধান না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে পরিবার।
পরে (৯ আগস্ট) সোমবার দুপুরে সাভার উপজেলার বেরন এলাকার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় ৬ খন্ডিত নিখোঁজ অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্রের মরদেহটি উদ্ধার করে র্যাব-৪। এ খবর পাওয়ায় মিন্টু চন্দ্রের গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
গত সোমবার বিকেলে সরজমিনে মিন্টু চন্দ্রের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মিন্টু চন্দ্রের মা ত্রিবিনি বালা বাবা বাবা বলে আত্বচিৎকারে বলছে, মোর বাবা কি অপরাধ করেছিল, উমরাগুলা মোর বাবাক ক্যনে কাটিল, এমনভাবে নানা প্রলাপ বোকছে। বাবা সরদ চন্দ্র বর্মন কথা বলা বন্ধ করে নির্বাক তাকিয়ে আছে। এদিকে সোসাল মিডিয়া ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে নিহত মিন্টু চন্দ্রের হত্যার ন্যায় বিচারের দাবী।
তারা ৫ ভাই এর মধ্যে বড় মিন্টু। হাতীবান্ধা এস.এস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে এসএসসি,এরপর আলিমুদ্দিন সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে অনার্স শেষ করে চাকুরীর সন্ধানে ঢাকা যান।