বাংলার সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক ।। ঢাকা টেস্টে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তাইজুল, নাঈম ও আবু জায়েদ রাহির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ক্যারিবীয়দের লিড দাঁড়িয়েছে ২৩০ রানের, ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৩১ রান।
এই ম্যাচ জিততে এখন নিজেদের আগের রেকর্ড ভাঙতে হবে বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড মাত্র ১০১ রানের। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সবমিলিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। ২০০৯ সালে তাদের মাটিতে ২১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ।
এই রেকর্ড গড়তে বাংলাদেশ দল অনুপ্রেরণা পেতে পারে সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকেই। কেননা বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। এই তো গত টেস্টে বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ৩৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতার অবিস্মরনীয় কীর্তি গড়েছে তারা। তবে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবার এত রান তাড়া করে জেতার নজির নেই একটিও।
২০১০ সালে বাংলাদেশের দেয়া ২০৯ রানের লক্ষ্য ১ উইকেট হারিয়েই ছুঁয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। হোম অব ক্রিকেটে এটিই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। এছাড়া মিরপুরে দুইশর বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড রয়েছে আর একটি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ২০৫ রান করে ৫ উইকেটে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ দল এই ম্যাচ জিতলে মিরপুরের মাটিতে দুইশর বেশি রান তাড়া করে জেতার মাত্র তৃতীয় নজির হবে।
এদিকে প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৭ রানে অলআউট করেছে টাইগাররা। যার ফলে এই ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়িয়েছে ২৩১ রান। কারণ প্রথম ইনিংস শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১৩ রানের লিডে ছিল।
গতকাল (শনিবার) ৩ উইকেটে ৪১ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় দিন শেষে অপরাজিত থাকা ব্যাটসম্যান জোমেল ওয়ারিকানকে আজ বেশিদূর এগোতে দেননি রাহি। রবিবার দিনের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে ওয়ারিকানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ২ রান করে ফিরেন এই ব্যাটসম্যান। লীয় ৬২ রানে কাইল মায়ার্সও রাহির বলে এলবিডব্লিউ হন। চট্টগ্রাম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান করেন ৬ রান। ৩৫তম ওভারে তাইজুল ইসলামের বলে স্ট্যাম্পিং হন জার্মেই ব্লাকউড। তার সংগ্রহ ৯ রান। ৬ উইকেটে ৯৮ রান করে লাঞ্চ বিরতিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিরতির পর বাকি চার উইকেটও দ্রুত তুলে নেয় বাংলাদেশ।
তাইজুল ইসলাম ৩৬ রান দিয়ে ৪টি, নাঈম হাসান ৩৪ রান দিয়ে ৩টি ও আবু জায়েদ রাহি ৩২ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেছেন। ১৫ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।