স্টাফ রিপোর্টার ।। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় এক ছাত্রলীগ নেতার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মতিয়ার রহমান (৫০) নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগটিকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তি দাবী করেন ওই ইউপি সদস্য।
গত ১৯ এপ্রিল হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ নং গেটে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে এ ঘটনায় গত ২০ এপ্রিল ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউর রহমান বাদি হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হলেন, উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী এলাকার দবির উদ্দিনের ছেলে ও ওই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য মতিয়ার রহমান। ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউর রহমান উপজেলার দোয়ানী এলাকার মৃত লিয়াকতের ছেলে ও দোয়ানী শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
জানা গেছে, দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ নং গেটের নিকট তিস্তা নদীর ড্রেসিং কাজ চলছে। সেই কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার মেশিন দেয়ার জন্য অগ্রিম ৯০ হাজার টাকা নেয় ছাত্রলীগের ওই নেতা। টাকা নিয়ে ফেরার পথে তিস্তা নদী নির্ভর জেলেদের কাছ থেকে মাছ ক্রয় করার সময় মূল্য কম বেশি নিয়ে তিস্তা ব্যারাজ মৎস সমবায় সমিতির সভাপতি রহমত আলীর সাথে বাক বিতন্ডা শুরু হয় ছাত্রলীগ নেতা জিয়ার।
এ সময় ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান কোন কিছু না বুঝেই রহমত আলীর পক্ষ নিয়ে জিয়ার উপর চড়াও হয় এবং জিয়াকে মারধরের চেষ্টা চালায়। পরে এর এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য ও রহমত আলী জিয়ার প্যান্টের পকেটে থাকা ৯০ হাজার টাকা বের করে নেন তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, এ ঘটনাটি সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট। আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য জিয়ার এমন অভিযোগ। উল্টো জিয়াই চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে জোড় পূর্বক মাছ নিয়ে যায়।
এদিকে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিয়া বলেন, ইউপি সদস্য মতিয়ার ও সমবায় সমিতির সভাপতি রহমত তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় অবৈধ ভাবে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরে। এছাড়া অনেক স্থানীয় জেলেকে তারিয়ে দেয় ও মারধর করে। এর আগে সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেছি। ফলে তারা সেই শত্রæতার জেড় ধরে ঘটনার দিন মাছ ক্রয়ের সময় ইচ্ছা করেই আমার সাথে দন্দ বাধায় এবং আমাকে মারধরের চেষ্টা করে। অতপর আমার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
পরে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে মোড় দিতে উল্টো তারাই আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলো। আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত করা হোক যদি এতে আমার কোন দোষ থাকে তাহলে আমি শাস্তি মাথা পেতে নিবো।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।