আসাদুল ইসলাম সবুজ ।। আ’লীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এবং প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে লালমনিরহাট শহর জুড়ে থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে। থেমে থেমে চলছে পাল্টাপাণ্টি আঘাতের চেষ্টা।
শনিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১২ টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ছাত্রলীগে সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব সমর্থীত নেতা কর্মী ও আ’লীগের নেতা কর্মীরা ছাত্রলীগ সভাপতি বক্করের বিরুদ্ধে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বাটা মোড় এলাকায় পৌছলে বক্কর সমর্থিত ছাত্রলীগ কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।মুহুর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, বন্ধ হয় দোকানপাট। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে দুপক্ষেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বর্তমানে ঘটনাস্থলে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানের বোনের বাড়ি শহরের আলরুপা মোড়ে ৫০-৬০ উশৃংখল যুবক হামলা চালায়। মারপিট করেন মতিয়ার রহমানের বোন ফাতেমা বেগমকে।
অভিযোগ উঠেছে, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ঘটনায় ওই রাতেই বক্করসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মামলার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বক্কর সমর্থকরা। সেখান থেকে আল্টিমেটাম দেয়া হয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলাটি প্রত্যাহার করা না হলে সোমবার পুরো জেলায় হরতাল পালন করবে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় চলমান পরিস্থিতি।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাআলম বলেন, উভয় গ্রুপই মারমুখী অবস্থান। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।