গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ স্টুডিয়ার দোকানের সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় হয় তখন থেকে শুরু হয় ভালোলাগা ভালবাসা। আর প্রেমের টানে লক্ষীপুড় একই ইউনিয়নের মুন্সির খামার গ্রাম থেকে ছুটে এসে ৭ নং ওয়ার্ড মৌজামালিবাড়ী ডাঃ পাড়া গ্রামের জবেদ আলীর বাড়ীতে জেসমিন আক্তার (১৬) বছরের এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর সাথে দেখা করতে এসে আটক হয়েছেন মামুন মিয়া নামের এক যুবক।
আজ শুক্রবার বাদ জুমা ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার লেংগাবাজার মৌজামালিবাড়ী ৭ নং ওয়ার্ড ডাঃ পাড়ায় এলাকায়।
বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে কিশোরীর সঙ্গে যুবকের বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে যুবকের পিতামাতাকে খবর পাঠানো হয়েছে। বিয়েতে রাজি হলেই ওই যুবককে মুক্তি দেওয়া হবে; না হলে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে কিশোরীর পরিবার।
সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে চৌরাস্তা বাজারে ছবি উঠানোর দোকান থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে উপজেলা গাইবান্ধা সদরের লক্ষীপুড় মুন্সিখামার এলাকার মতিন মিয়ার ছেলে মো.মামুন মিয়া (২৪) এর সাথে।
প্রেমের সূত্র ধরে সে মৌজামালিবাড়ী ডাঃ বাড়ী গ্রামে আসে। এরপর সোজা ওই কিশোরী প্রেমিকার পিত্রালয়ে এসে হাজির হয় বাদ জুমা। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী আটক করে উত্তম-মধ্যম দেয়। এরপর আটক ওই যুবকের পিতা-মাতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে খবর পাঠানো হয়েছে।
আটক যুবক মামুন মিয়া জানান, আমার ফটো স্টুডিয়ার দোকানে ছবি উঠতে এসে তার সঙ্গে আমার পরিচয়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাই তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।
কিশোরী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মামুন মিয়ার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। আমিই তাকে আসতে বলেছি। গ্রামবাসী ও আমার পরিবারের লোকজন আমার মতামত উপেক্ষা করে তাকে আটক করেছে।
কিশোরীর খালা বলেন, চেনা নেই জানা নেই মেয়ে একজনকে ভালোবাসবে তা হতে পারে না। তাছাড়া আমার মেয়ে এখনো নাবালিকা। ওর সিদ্ধান্ত নেওয়ার বয়স হয়নি। তাই যুবককে আটক করা হয়েছে। তার বাবা-মাকে আসতে বলা হয়েছে।
এই বিষয়ে সদর থানার তদন্ত্র ওসি মোঃআব্দর রউফ এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পাইলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।