স্টাফ রিপোর্টার ।। লালমনিরহাটের প্রত্যন্ত পল্লী এলাকার অসহায় গরীব ক্যান্সার আক্রান্ত শামসুল হকের অবস্থার অবনতি হচ্ছে। আগে ওঠা বসা করতে পারলেও বর্তমানে বিছানাতেই দিন কাটছে তার। আর স্ত্রী খোতেজা ও মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন।
সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হীরা-মানিক গ্রামের অসহায় গরীব শামসুল হক। তার বাড়ীর পাশে সামান্য জমি বন্ধক নিয়ে চাষাবাদ ও পরের ক্ষেতে দিনমজুর দিয়ে সংসারটা চালিয়ে আসছিলো সে। জীবন বাঁচাতে বন্ধকী জমি টুকু ছেড়ে দিয়ে টাকা ফেরত নিয়ে চলতে থাকে চিকিৎসা, কিন্তু তখনো শামসুল জানতেন না তার শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণ ব্যাধি ক্যানসার।
শামসুল হকের পরিবার জানান, বছর খানেক আগে হঠাৎ শামসুল তার গলার একাংশে ছোট ছোট বিষ ফোঁড়া সদৃশ কিছু লক্ষ করে। কিন্তু সেটা নাকি ভিশন যন্ত্রণাদায়ক ছিল। সইতে না পেড়ে স্থানীয় ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। চলে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারের হাতুড়ে চিকিৎসা। কিন্তু দিন যতোই গড়ায় শামসুলের অবস্থার অবনতি ঘটে।
লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুরের বিভিন্ন ডাক্তার দেখে প্রায় ৮ মাস আগে সনাক্ত হয়েছে সে ক্যানসারে আক্রান্ত।
শামসুল হকের এখন উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন কিন্তু তিন শতক ভিটা ছাড়া তার যে আর কিছুই নাই। একমাত্র ছেলে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরী করলেও লকডাউনের কারনে সে নিজেই বিপাকে।
বর্তমানে সরকারি বেসরকারি সাহায্যের অপেক্ষায় আছে ঐ পরিবারটি। এর আগে শামসুলের দৈন্যদশা নিয়ে একটি সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হলে, অনেকের দৃষ্টিগোচর হয়। এক ছাত্র নেতা কিছু নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতাও করেন। আবার অনেকে তাকে সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন। আর এই আশ্বাসেই বুক বেঁধেছে শামসুল সুন্দর এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য।
বর্তমানে শামসুলের অবস্থার অবনতি হওয়ায়, শামসুলের পরিবার ও স্থানিয়রা বলছেন, আমরা যার যার জায়গা থেকে চেষ্টা করছি। যা চাহিদার তুলনায় একেবারই অপ্রতুল। ক্যানসার আক্রান্ত শামসুলের প্রতি নিশ্চয় সরকার ও সমাজের বৃত্তবানরা সহায়ক হবেন এবং যে সকল সহৃদয়বান ব্যাক্তিগন ছামসুলের চিকিৎসায় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন, তারা শামসুল কে বাঁচাতে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করবেন।
কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পেয়ে বর্তমানে হতাশ ওই পরিবারটি। মরণব্যাধি ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত ছামসুলের চিকিৎসা, অর্থাভাবে সম্পূর্ণরূপে রয়েছে।
ক্যান্সার আক্রান্ত ছামছুরের উন্নত চিকিৎসা আবারও হবে, ক্ষেতে খামারে কাজে ব্যস্ত থাকবে শামসুল হক। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।