স্টাফ রিপোর্টার ॥”রাখে আল্লাহ, মারে কে?” “জয় হোক মানবতার” প্রবাদ আছে সেবাই ধর্ম। মানুষ মানুষের জন্য দায়িত্ববোধ ও মহানুবতা বলে কথা। কিন্তু পিতা মাতার স্নেহ বঞ্চিত ডাস্টবিনে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটির খোঁজ নিলেন লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন ও তার সহধর্মিণী লিজা জামান। বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানুষের সংখ্যা এ যুগে কমে গেলে ও এখনো কিছু মানুষ আছে যারা মানুষের বিপদে পাশে এসে দাঁড়ায়। তেমনি একজন মানুষ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন ও তার সহধর্মিণী লিজা জামান। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন ও তার সহধর্মিনী লিজা জামান সদর হাসপাতালের শিশু নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি শিশুটির স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন। জানা গেছে, গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি সকালে লালমনিরহাট শহরের কালিবাড়ী এলাকায় ময়লার ডাস্টবিন থেকে শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করেন। শিশুটির পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশ সদর হাসপাতালে শিশু নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। শিশুটির দেখভাল করছেন সদর থানা পুলিশ। ডাস্টবিনে কুড়িয়ে পাওয়া গেছে একটি শিশু এমন খবর পেয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন ও তার সহধর্মিনী লিজা জামান সদর হাসপাতালের শিশু নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি শিশুটির স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন। শিশুটির জন্য নতুন শীতের কাপড়, তোয়ালে, নতুন জামা, শিশু খাদ্য, ফিডার দ্বায়িত্বরত পুলিশ সদস্য’র হাতে তুলে দেন। ওই সময় লিজা জামান শিশুটিকে পরম মমতায় কোলে তুলে নিয়ে আদর করেন। শিশুটিকে দত্তক নেবার জন্য ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক দম্পত্তি ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, শিশুটির অপরাধ কি!, কেউ অপরাধী হয়ে জম্ম নেন না। কোন পাষন্ড নারীর একাজ করলো। ১০ মাস অতিকষ্টে পেটে ধরে রাখলেন আর জম্ম দিয়ে কেন ময়লার ডাস্টবিনে রাখলেন। সমাজে এ ধরনের ঘটনা আমাদের নৈতিক অধঃপতনের ইঙ্গিত করে। আমি শিশুটির পিতামাতার প্রতি অনুরোধ করবো তারা যেন অতিস্বত্বর তাদের শিশুটিকে ফিরিয়ে নেন। প্রয়োজনে তাদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে। তাদের অবহেলায় একটি শিশুর জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে যাচ্ছে।