বাংলার সংবাদ ডেস্ক ।। সিডর, আইলা আর আম্ফান’র মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে লড়াই করে টিকে থাকা বন্দর লাগোয়া উপকুলের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার জেলে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন আতঙ্ক এখন ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানলে উপকূলীয় এলাকার মানুষের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশংঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কোস্টগার্ড, বন্দর ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় সকল ধরণের প্রস্তুতিই নেয়া হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জন্য।
সকাল থেকে বন্দরে অবস্থানরত দেশী-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ ও পশুর চ্যানেলে থাকা লাইটার ও কার্গো জাহাজসহ সকল নৌযান সমূহকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে নির্দেশণা দিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ। কন্টোল রুম খোলা হয়েছে বন্দরের দুইটি স্থানে। ঘুর্ণিঝড় ইয়াস বন্দরের উপকুলীয় এলাকায় আঘাত হানলে তাৎক্ষনিক ভাবে মানুষের জানমাল ও বন্দরের সকল স্থাপনা রক্ষায় ইতি মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানায় মোংলা সমুদ্র বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। এছাড়া, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ তাদের জলযানগুলো বন্দর জেটিসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম হাবিব উল আলম জানান, সাগর ও পশুর চ্যানেল প্রচন্ড উত্তল। ঘুর্ণিঝড় সম্পর্কে বিভিন্ন সচেতনতা মূুলক প্রচারনার পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার হতদরিদ্্র ও অসহায় মানুষদের নিরাপদ আশ্রায় পৌছানো ও জরুরী ত্রান সামগ্রীর ব্যাবস্থা নিশ্চিত করবে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন। ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য একটি মেডিকেল টিমসহ বন্যা দূর্গতদের জন্য খাবার সরবরাহের পৃথক পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে কোস্টগার্ড সদস্যদের নিয়ে। এছাড়াও ইয়াস পরবর্তী উদ্ধার অভিযান ও প্রাথমিক চিকিৎসাসহ অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য একটি কার্গো জাহাজ ও ১০টি ট্রালার প্রস্তুত রেখেছে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন। মোংলাসহ সুন্দরবন এলাকায় কোস্টগার্ডের ১২টি ষ্টেশনে ৪টি জাহাজসহ ২০টি জলযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানায়, মোংলা উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসুচি (সিপিপি)’র ১৩২০ জন সেচ্ছাসেবক তাদের সাংকেতিক সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। এতি মধ্যে মোংলা উপকুলীয় চরাঞ্চলের মানুষদের ঘুর্ণিঝড় ইয়াস সংক্রান্ত তথ্য সার্বক্ষনিক মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছে সিপিপি সেচ্ছাসেবকরা।